ছবি,কবিরাজ হাজী মোঃ শামছুর রহমান
৩১ মে ২০২০ তারিখ গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন সাইনবোর্ড এলাকায়(ইমনের বাড়ীর ভাড়াটিয়া) এক যুবতী(৩০)‘কে বিবাদী কবিরাজ হাজী মোঃ শামছুর রহমান (৫৫),পিতা-মৃত আব্দুল গণি, সাং-চান্দনা রওশন সড়ক, থানা-বাসন, জিএমপি গাজীপুর একটি ঘরে আটকিয়ে রেখে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে বাদীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিষয়টি বাদী তার পিতা মাতা সহ নিকটতম আত্মীয় স্বজনের কাছে বলতে চাইলে বিবাদী তাকে মারপিট করে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ মেরে ফেলার হুমকি দেয়। দীর্ঘ ১০ বছর যাবত বিবাদীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ভিকটিম গত ৩১/০৫/২০২০ ইং তারিখ গাজীপুর র্যাব-১ এর কার্যালয়ে এসে বিবাদীর বিরুদ্ধে লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। বাদীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অত্র র্যাব-১, গাজীপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল জিএমপি গাজীপুর বাসন থানাধীন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় রাত ০৯.৩০ ঘটিকার সময় ভন্ড কবিরাজ মোঃ শামছুর রহমান(৫৫)কে আটক করেন। বিবাদী চৌরাস্তা আন্ডার গ্রাউন্ড মার্কেটে গনি মিয়ার কবিরাজ ঘরে বসে বিভিন্ন মহিলাদের তাবিজের তদবির করে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, বিবাদী কবিরাজ হাজী মোঃ শামছুর রহমান (৫৫),পিতা-মৃত আব্দুল গণি, সাং-চান্দনা রওশন সড়ক, থানা-বাসন, জিএমপি গাজীপুর ১০/১১ বছর পূর্ব হইতে ভিকটিম(৩০), থানা-পাইকগাছা, জেলা-খুলনা, এ/পি সাং-সাইনবোর্ড, থানা-গাছা, জিএমপি, গাজীপুর এর সাথে সম্পর্ক হয়। এক পর্যায়ে ভিকটিমকে বিভিন্ন বাসায় আটকিয়ে রেখে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বিবাদী যৌন ও শারিরীক নির্যাতন করে। বিবাদী একজন ভন্ড কবিরাজ। এর ফলশ্রুতিতে ভিকটিম ৫/৬ বার অন্তঃসত্তা হলে বিবাদী ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বারবার গর্ভপাত করিয়ে ফেলে। ভিকটিম উক্ত বিষয়ে তার পিতা মাতাকে অবগত করতে চাইলে বিবাদী ভিকটিমকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন সহ বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। ঘটনার বিষয়ে বিবাদীকে জিজ্ঞাসা করা হলে ভন্ড কবিরাজ স্বীকার করেন যে, তাদের দু জনের কোন বিবাহ হয় নাই ও কোন কাবিন নামা নাই। সে দীর্ঘদিন যাবত ভিকটিমকে ভয় দেখিয়ে তার একটি বাসায় আটক রেখে ধর্ষণ করে আসছে। উক্ত কবিরাজের বিরুদ্ধে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে জিএমপি গাছা থানায় মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নম্বর-০১ তারিখ ০১/০৬/২০২০ ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৯(১)। উক্ত কবিরাজ বিভিন্ন মহিলাকে ভয় দেখিয়ে যৌন নির্যাতন করে বলে র্যাবের গোয়েন্দা দল জানতে পেরেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।